আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) দল পেতে সবমিলিয়ে ১১টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছিল। এর মধ্যে আলোচনার জন্য ৯টি প্রতিষ্ঠানকে গেল বৃহস্পতিবার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল বিসিবি। আমন্ত্রণ না পাওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে ছিল চিটাগং কিংস ও নতুন আবেদন করা দেশ ট্রাভেলস। অবশ্যই এই দুটি প্রতিষ্ঠান বিপিএলে দল পাচ্ছে না সেটা অনুমিতই ছিল। তবে এবার চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে আরও দুটি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে আছে নোয়াখালির নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আগ্রহ দেখানো বাংলা মার্ক। তাদের প্রাথমিক যাচাই বাছাই শেষে বাদ দেয়া হয়েছে। বিপিএলে দল পাচ্ছে না খুলনা টাইগার্সের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান মাইন্ড ট্রিও।
এ প্রসঙ্গে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু বলেছেন, '১১ টা থেকে ৮ টা করা হয়েছে। আমাদের চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট কোম্পানি... ব্যাপারটা হচ্ছে ইওআইতে অনেক ডকুমেন্ট চাওয়া হয়েছিল। এই তিনটা কোম্পানির ডকুমেন্টের ঘাটতি ছিল বলে তারা কোয়ালিফাই করতে পারেনি। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই এবং মূল্যায়ন প্রক্রিয়া শেষে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের আইন বিভাগ, লিগ্যাল কনসালেটেন্সি ফার্ম এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্ম ১১টি ইওআই অংশগ্রহণকারীর নথি পর্যালোচনা করেছে।' তিনি আরও যোগ করেন, 'বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রক্রিয়ায় শর্ত পূরণ করতে পারেনি। এসকিউ স্পোর্টস এন্টারপ্রাইজ, বাংলা মার্ক লিমিটেড, মাইন্ড ট্রি ও রূপসী কনক্রিট লিমিটেড কনসোর্টিয়াম। চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রতিবেদন, আইন বিভাগ, লিগ্যাল কনসালটেন্সি ফার্ম এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্ম কর্তৃক যাচাই সম্পন্ন হওয়ার পর যোগ্য ইউআই অংশগ্রহণকারীর চূড়ান্ত তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ৪ তারিখে ঘোষণা করা হবে।'
এদিকে কিংসের কাছে পাওনা টাকা নিয়ে বিসিবির আইনজীবী ব্যারিষ্টার মাহিন রহমান বলেন, ‘হ্যাঁ, তাদের (চিটাগং কিংস) বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া চলছে। উনি যে অর্ডার নিয়েছেন কোর্ট থেকে, আমরা কিন্তু ওইটা গ্রহণ করিনি। আমরা কিন্তু আপিল করেছিলাম এবং আপিল করে আমরা সেটার উপর স্থগিতাদেশ পেয়েছি। তার কাছ থেকে টাকা উদ্ধার করার জন্য যত আইনি প্রক্রিয়া কোনটাই আমরা বাদ রাখছি না। আমরা কঠিন আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
বিপিএলের প্রথম দুই আসরে খেললেও দুই আসরের পাওনা পরিশোধ করেনি চিটাগং কিংস। সবশেষ আসরেও ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফ ও দলের অন্যান্য সদস্যদের পারিশ্রমিক দেয়নি তারা। ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কাছে ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার পান হেড কোচ শন টেইট। টাকা পাননি মেন্টর শহীদ আফ্রিদি, উপস্থাপিকা ইয়াশা সাগরও। এ ছাড়া ঢাকার শেরাটন হোটেল ২৯ লাখ ও সিলেটের রোজ ভিউ হোটেল তাদের ১৭ লাখ টাকা বকেয়া আছে।
এ প্রসঙ্গে মিঠু বলেন, ‘আমাদের কাছে যে অভিযোগগুলো এসেছে—শন টেইট তাদের কাছে প্রায় ৩৭ হাজার ডলার পায়, রোজ ভিউ হোটেল সিলেট তারা প্রায় ১৭ লাখ টাকা ক্লেইম করেছে, শেরাটন হোটেল ২৯ লাখ টাকা পায়। আপনারাও জানেন অনেক ক্রিকেটার কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসে বলছে তারা টাকা পায়নি। এর আগে শহীদ আফ্রিদিও ক্লেইম করেছিল, ইয়াশা সাগরও অভিযোগ করেছিল। সাথে আমাদের আগের আসরেও বিবাদ আছে, আর্বিটেশনে চলছে। এটা চিটাগং কিংসের পরিস্থিতি।’